রাজশাহী নগরীর পাড়া- মহল্লায় মাদকের ছড়াছড়ি!
রিপোর্টার মির্জা তুষার আহমেদ
হাদিরমোড়, শহীদ মিনার এলাকার কমেলা, তালাইমারীতে রয়েছে টিপু’র ছেলে শামীম। তবে বোয়ালিয়া থানার মধ্যে বড় ধরনের কোন মাদক কারবারী না থাকলেও খুচরা মাদক কারবারী ও সুদ-কারবারীতে ভরা। এদের প্রায় অধিকাংশই পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা। ঘনবসতি’র কারনে তাদের পুলিশ চেষ্টা করেও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনা। মতিহার থানা অঞ্চলে মধ্যে রয়েছে জাহাজঘাট, সাতবাড়িয়া, ডাসমারী স্কুল মোড় এলাকার জাকা ও পালা। মালেকের মোড়ের মালেকের ছেলে, সুরাপানের মোড় ও চর-শ্যামপুর, মিজানের মোড় কাঁদো, মেরি, আসলাম, রবিউল, মিঠু, কামরুল, এলাকায় বড় মাপের মাদক কারবারী থাকলেও রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। মতিহার থানার তালিকায় ২৭০ জন মাদক কারবারী দেখা যায় ২০২২ সালে। বর্তমানে আরও নতুন নতুন মাদক কারবারী বেড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদক কারবারীরা নগরের বিভিন্ন থানার অসাধু কিছু পুলিশ সদস্যদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করে আসছে। এসব মাদক কারবারীরা পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যদের নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে এসব কারবার চালাচ্ছে। ইতিপূর্বেও বেশকিছু পুলিশ সদস্যদের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কিছু পুলিশ সদস্যদের বদলি হলেও অনেকের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও আরএমপি’র উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কোন মাদক কারবারী বা কোন পুলিশ সদস্য এর সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নতুন পুলিশ কমিশনার স্যার আরএমপি’তে যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। কোন মাদক কারবারীকেই ছাড় দেয়া হবে না। মাদক উদ্ধারে আরএমপি’র পুলিশের অভিযান চলছে। পর্যায়ক্রমে সকল মাদক কারবারীকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক নির্মূলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply